ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




সরকারি ফিতে জন্মসনদ দেন , চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম

মোঃ সুরুজ্জামান ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
  • প্রকাশিত : ১০:০৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ৫৫২ বার পঠিত
কালের ধারা ২৪, অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
print news

সরকারি ফিতে জন্মসনদ দেন, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম

মোঃ সুরুজ্জামান ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নে সরকারি ফিসে দেওয়া হচ্ছে জন্মসনদ। সোমবার সকালে পরিষদে সরেজমিনে দেখা যায় চেয়ারম্যন কর্তৃক নির্দেশকৃত জন্মসনদের বিভিন্ন কাজের ধাপ অনুযায়ী ফির এর পরিমান টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে দেয়ালে। সেবা প্রার্থীদের নিকট হতে  নেয়া হচ্ছে সরকারি ফি। এছাড়াও শিশু জন্মের ৪৫ দিন বয়সের মধ্যে যাদের জন্মসনদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশনের আবেদন জমা পড়েছে তাদের বিনা ফিসে জন্ম সনদ দিচ্ছেন চেয়ারম্যান। এছাড়াও হাতের কাছে থাকা এন্ড্রোয়েড ফোন বা দোকান হতে আবেদন নিলেও তিনি কাগজ পত্র দেখে করে দ্যান বলে জানান।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ৫নং অলোয়া ইউনিয়নের সচিব মোঃ শেখ ফরিদ জানান, ‘আমরা ডাক্তারী সনদের যে কপি লাগতো তা নিচ্ছি না, পুরাতন জন্মসনদ অনলাইনে না থাকলে সেটির মূলে নতুন করে অনলাইন জন্মসনদ দিচ্ছি। আমরা তো কঠিন করছি না। সহজ করে দিচ্ছি।’

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি ফিসে জন্মসনদ দিচ্ছি। এর অতিরিক্ত টাকা আমার পরিষদের কেউ নিলে ব্যবস্থা নিবো।’

তিনি আরো জানান, জন্মসনদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন, কাগজ পত্রের ফটোকপি, উপজেলায় শুনানীর জন্য বিভিন্ন যাতায়াত খরচ এখানে ধরলে হবে না। আমি এখান হতে সরকারি ফির অতিরিক্ত এক টাকাও নেই না। জন্মসনদের রেজিষ্ট্রেশনের আবেদন আমার নিকট আনলেই কাগজপত্র দেখে আমি নিবন্ধন করে দিবো এবং শিশু জন্ম হলেই ৪৫দিনের মধ্যে চকিদার দফাদারকে অবগত করলেই বিনা ফিসে বাচ্চার জন্মসনদ করে দিবো।

এদিকে উপজেলায় শুনানী, সার্ভার জলিলতা, কারিগরি মান উন্নয়নের জন্য সার্ভার বন্ধ, শুনানীকালে কাগজ পত্রের সাথে তথ্যের অমিলের কারণে অনুমোদন আসে না। এ জন্য সেবাপ্রার্থী ভোগান্তি হলে তার দায়ভার পরিষদের না এসমনটাই জানা যায়।

দেশের একজন সুনাগরিকের প্রথম ও প্রধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সনদের নাম জন্মসনদ। সারাদেশে আপডেট সার্ভারের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে অনলাইন জন্মসনদ। চাকরী-বাকরী, শিক্ষা, বিবাহ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার হওয়া, পাসপোর্ট, স্কুলে বাচ্চা ভর্তি ইত্যাদিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্মসনদের গুরুত্ব অপরিসীম। জন্মসনদের তাই কোন বিকল্প নাই।

এদিকে জন্মসনদ রেজিষ্টার কার্যালয়ের জন্মসনদের সার্ভার(বি.ডি.আর.আই.এস) হতে পিতা মাতার জন্মসনদের কাজ করা বাধ্যতামূলক থাকলে ও এখন আর তা থাকছে না। তবে একটি বাচ্চার জন্মসদের অনলাইন ডাটাবেজে পিতা মাতাসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য থাকবে কিনা বা পুরা ডাটাবেজে পিতা মাতার জন্মসনদ পরববর্তীতে হালনাগাদ করতে হবে কিনা তার সুনিদিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

গত কুরবানির ঈদ পূর্ব পর্যন্ত পিতা মাতার জন্মসনদ পূর্বে যাদের জন্ম সাল ২০০১ এর পর হতো সেক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ছিল এবং ডাটাবেইজে সন্তানের ক্রম অনুযায়ী তথ্য সংরক্ষিত ছিল। ভোগান্তি একটু হলেও এর ফল জনসাধারণ ও সরকারি তথ্য সংগ্রহে বিরাট ভূমিকা রাখতো বলে এমনটাই মনে করা হয়।

তবে অন্যন্যা দেশের মতো পারিপ্বার্শিক অবস্থা একরকম না হওয়ায় এ প্রক্রিয়ায় জন্মসনদ দেয়া সম্ভব নয় বলে বিশিষ্টজন মনে করে থাকেন।। যার কারণে পিতামাতার জন্মসনদ না করলেও বাচ্চাদের জন্ম সনদ করা যায়। কারণ দেশের প্রান্তিক গরিব, দুস্থ্য, পথশিশু, পিতাহারা, মাতাহারা, অনাথ শিশু এই নিবন্ধনের বাইরে থাকায় পিতামাতার জন্মসনদ করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায় এবং তারা রাষ্ট্রীয় জন্মসনদের সুবিধা হতে বঞ্চিত হয় বিধায় পিতা মাতার জন্ম সনদ না করলেও সরাসরি বাচ্চার জন্মসনদ করা যায় এবং  জন্মসনদে ভূল সরাসরি সংশোধন করা যায় বা পিতামাতার নাম ও এন আই ডি আবেদনে বসিয়ে  নতুন করে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করা যায়। ফলে সহজে জন্মসনদ করা যায়। সংশোধনের ক্ষেত্রে এখন আর পিতামাতার মৃত্যর প্রমাণপত্র চাবে না বা এক্ষেত্রে মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে না। এতে জন্মসনদের কাজ সহজ করারক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ।

দেশের প্রান্তিক গরিব, দুস্থ্য, পথশিশু, পিতাহারা, মাতাহারা, অনাথ শিশুদের জন্য একই সার্ভারের অধীনে আলাদা ডাটাবেইজ করে তথ্য সংরক্ষন করে জন্মসনদ দিলেও তা আরো ফলপ্রসু হতো বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।




ফেসবুকে আমরা







x

সরকারি ফিতে জন্মসনদ দেন , চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম

প্রকাশিত : ১০:০৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
print news

সরকারি ফিতে জন্মসনদ দেন, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম

মোঃ সুরুজ্জামান ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নে সরকারি ফিসে দেওয়া হচ্ছে জন্মসনদ। সোমবার সকালে পরিষদে সরেজমিনে দেখা যায় চেয়ারম্যন কর্তৃক নির্দেশকৃত জন্মসনদের বিভিন্ন কাজের ধাপ অনুযায়ী ফির এর পরিমান টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে দেয়ালে। সেবা প্রার্থীদের নিকট হতে  নেয়া হচ্ছে সরকারি ফি। এছাড়াও শিশু জন্মের ৪৫ দিন বয়সের মধ্যে যাদের জন্মসনদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশনের আবেদন জমা পড়েছে তাদের বিনা ফিসে জন্ম সনদ দিচ্ছেন চেয়ারম্যান। এছাড়াও হাতের কাছে থাকা এন্ড্রোয়েড ফোন বা দোকান হতে আবেদন নিলেও তিনি কাগজ পত্র দেখে করে দ্যান বলে জানান।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ৫নং অলোয়া ইউনিয়নের সচিব মোঃ শেখ ফরিদ জানান, ‘আমরা ডাক্তারী সনদের যে কপি লাগতো তা নিচ্ছি না, পুরাতন জন্মসনদ অনলাইনে না থাকলে সেটির মূলে নতুন করে অনলাইন জন্মসনদ দিচ্ছি। আমরা তো কঠিন করছি না। সহজ করে দিচ্ছি।’

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি ফিসে জন্মসনদ দিচ্ছি। এর অতিরিক্ত টাকা আমার পরিষদের কেউ নিলে ব্যবস্থা নিবো।’

তিনি আরো জানান, জন্মসনদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন, কাগজ পত্রের ফটোকপি, উপজেলায় শুনানীর জন্য বিভিন্ন যাতায়াত খরচ এখানে ধরলে হবে না। আমি এখান হতে সরকারি ফির অতিরিক্ত এক টাকাও নেই না। জন্মসনদের রেজিষ্ট্রেশনের আবেদন আমার নিকট আনলেই কাগজপত্র দেখে আমি নিবন্ধন করে দিবো এবং শিশু জন্ম হলেই ৪৫দিনের মধ্যে চকিদার দফাদারকে অবগত করলেই বিনা ফিসে বাচ্চার জন্মসনদ করে দিবো।

এদিকে উপজেলায় শুনানী, সার্ভার জলিলতা, কারিগরি মান উন্নয়নের জন্য সার্ভার বন্ধ, শুনানীকালে কাগজ পত্রের সাথে তথ্যের অমিলের কারণে অনুমোদন আসে না। এ জন্য সেবাপ্রার্থী ভোগান্তি হলে তার দায়ভার পরিষদের না এসমনটাই জানা যায়।

দেশের একজন সুনাগরিকের প্রথম ও প্রধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সনদের নাম জন্মসনদ। সারাদেশে আপডেট সার্ভারের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে অনলাইন জন্মসনদ। চাকরী-বাকরী, শিক্ষা, বিবাহ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার হওয়া, পাসপোর্ট, স্কুলে বাচ্চা ভর্তি ইত্যাদিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে জন্মসনদের গুরুত্ব অপরিসীম। জন্মসনদের তাই কোন বিকল্প নাই।

এদিকে জন্মসনদ রেজিষ্টার কার্যালয়ের জন্মসনদের সার্ভার(বি.ডি.আর.আই.এস) হতে পিতা মাতার জন্মসনদের কাজ করা বাধ্যতামূলক থাকলে ও এখন আর তা থাকছে না। তবে একটি বাচ্চার জন্মসদের অনলাইন ডাটাবেজে পিতা মাতাসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য থাকবে কিনা বা পুরা ডাটাবেজে পিতা মাতার জন্মসনদ পরববর্তীতে হালনাগাদ করতে হবে কিনা তার সুনিদিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

গত কুরবানির ঈদ পূর্ব পর্যন্ত পিতা মাতার জন্মসনদ পূর্বে যাদের জন্ম সাল ২০০১ এর পর হতো সেক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ছিল এবং ডাটাবেইজে সন্তানের ক্রম অনুযায়ী তথ্য সংরক্ষিত ছিল। ভোগান্তি একটু হলেও এর ফল জনসাধারণ ও সরকারি তথ্য সংগ্রহে বিরাট ভূমিকা রাখতো বলে এমনটাই মনে করা হয়।

তবে অন্যন্যা দেশের মতো পারিপ্বার্শিক অবস্থা একরকম না হওয়ায় এ প্রক্রিয়ায় জন্মসনদ দেয়া সম্ভব নয় বলে বিশিষ্টজন মনে করে থাকেন।। যার কারণে পিতামাতার জন্মসনদ না করলেও বাচ্চাদের জন্ম সনদ করা যায়। কারণ দেশের প্রান্তিক গরিব, দুস্থ্য, পথশিশু, পিতাহারা, মাতাহারা, অনাথ শিশু এই নিবন্ধনের বাইরে থাকায় পিতামাতার জন্মসনদ করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায় এবং তারা রাষ্ট্রীয় জন্মসনদের সুবিধা হতে বঞ্চিত হয় বিধায় পিতা মাতার জন্ম সনদ না করলেও সরাসরি বাচ্চার জন্মসনদ করা যায় এবং  জন্মসনদে ভূল সরাসরি সংশোধন করা যায় বা পিতামাতার নাম ও এন আই ডি আবেদনে বসিয়ে  নতুন করে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করা যায়। ফলে সহজে জন্মসনদ করা যায়। সংশোধনের ক্ষেত্রে এখন আর পিতামাতার মৃত্যর প্রমাণপত্র চাবে না বা এক্ষেত্রে মৃত্যুর প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে না। এতে জন্মসনদের কাজ সহজ করারক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ।

দেশের প্রান্তিক গরিব, দুস্থ্য, পথশিশু, পিতাহারা, মাতাহারা, অনাথ শিশুদের জন্য একই সার্ভারের অধীনে আলাদা ডাটাবেইজ করে তথ্য সংরক্ষন করে জন্মসনদ দিলেও তা আরো ফলপ্রসু হতো বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা।