ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের ২০২৪-২০২৫ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন তারেক Logo সিলেটের ১৯টি আসনের ১০৪ জন আওয়ামীলীগ নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন Logo জগন্নাথপুরে দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের হাজারীতে ভেঙ্গে গেলো তৃতীয় বিয়ে Logo দেশে ডলারের দাম বাড়ল ৫০ পয়সা Logo বিসিএস দিতে পারবে ফাজিল-কামিল শিক্ষার্থীরা Logo সিলেটে শীতের পূর্বাভাস Logo সিলেটে ৩৬ ঘন্টায় ৪৬৫ দশমিক ২ মিলিমটিার বৃষ্টিপাত হয়েছে Logo চলতি বছরে সিলেট জুড়ে সড়ক দুর্ঘনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ জন Logo ফ্রান্স প্রবাসী ভাদেশ্বরের কৃতি সন্তান আমিনুর রহমান আমিনের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন !! শোক প্রকাশ Logo সদরপুরে দাফনের পর জীবিত উদ্ধার নারী ফের লাপাত্তা




সিলেট জুড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ হাসপাতালে ভিড়

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট:
  • প্রকাশিত : ১২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ ৪১৭ বার পঠিত
কালের ধারা ২৪, অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
print news

সিলেট জুড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ হাসপাতালে ভিড়

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেট বিভাগ জুড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, প্রতিদিন সরকারি ও বেসরকারি হাপতালে রোগীদের ভিড় করে দেখা যাচ্ছে । তবে বেশিরে ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সিলেট বিভাগের মধ্যে বেশির ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে মৌলভীবাজারে। প্রতি বছরই দেশের সর্ব নি¤œ তাপমাত্রা রেকড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। গত কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় নাজেহাল মানুষজন। দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দূভাব।

বিজ্ঞাপন

ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রচণ্ড তীব্রতার কাছে সবাই যেন পরাস্ত। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে সূর্য। দুপুরের দিকে কিছুটা দেখা গেলেও হিমেল বাতাসের কাছে ম্লান হয়ে যাচ্ছে সূর্যের তাপমাত্রা।

শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে হাওর ও চা বাগান অধ্যুষিত সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডাজনিত রোগের কারণে প্রতিটি জেলার সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার  চেয়ে দ্বিগুণ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতালের বেডে রোগীদের জায়গা না থাকায় মেঝেতে হচ্ছে রোগীর ঠাঁই।

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে দেখা যায়, সেখানে রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীর জন্য বেড রয়েছে ৫৬ টি। সেখানে বৃধবার সকালে ৭৪ জন  রোগী ভর্তি ছিলেন। তবে বিকেল পর্যন্ত ১৪ জন রোগী ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান। ২২ জানুয়ারি হাসপাতালে  রোগী ছিল ৬৯ জন এবং ২১ জানুয়ারি ৬৪ জন রোগী ছিল। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান, সেখানকার কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সিগ্ধা দে। তিনি বলেন, বিশেষ করে বয়স্ক রোগীরা শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় করোনা ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। তারপরও সবাইকে  বেড দিতে পারছি না। একই চিত্র দেখা যায় সিলেটের ওসমানী হাসপাতাল, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সকল জেলায় এখন পর্যন্ত জেলার হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় ঠান্ডাজনিত রোগ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৬ জন। এছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন।  তিনি আরও জানান, ঠান্ডায় ডায়রিয়াজনিত রোগের সংখ্যা বেড়েছে। তবে সেটি খুব একটা নয়। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে হওয়ায় রোগীর সংখ্যা কম বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :




ফেসবুকে আমরা







x

সিলেট জুড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ হাসপাতালে ভিড়

প্রকাশিত : ১২:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
print news

সিলেট জুড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ হাসপাতালে ভিড়

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেট বিভাগ জুড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, প্রতিদিন সরকারি ও বেসরকারি হাপতালে রোগীদের ভিড় করে দেখা যাচ্ছে । তবে বেশিরে ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সিলেট বিভাগের মধ্যে বেশির ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে মৌলভীবাজারে। প্রতি বছরই দেশের সর্ব নি¤œ তাপমাত্রা রেকড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। গত কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় নাজেহাল মানুষজন। দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দূভাব।

বিজ্ঞাপন

ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রচণ্ড তীব্রতার কাছে সবাই যেন পরাস্ত। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে সূর্য। দুপুরের দিকে কিছুটা দেখা গেলেও হিমেল বাতাসের কাছে ম্লান হয়ে যাচ্ছে সূর্যের তাপমাত্রা।

শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে হাওর ও চা বাগান অধ্যুষিত সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডাজনিত রোগের কারণে প্রতিটি জেলার সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার  চেয়ে দ্বিগুণ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতালের বেডে রোগীদের জায়গা না থাকায় মেঝেতে হচ্ছে রোগীর ঠাঁই।

মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে দেখা যায়, সেখানে রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীর জন্য বেড রয়েছে ৫৬ টি। সেখানে বৃধবার সকালে ৭৪ জন  রোগী ভর্তি ছিলেন। তবে বিকেল পর্যন্ত ১৪ জন রোগী ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান। ২২ জানুয়ারি হাসপাতালে  রোগী ছিল ৬৯ জন এবং ২১ জানুয়ারি ৬৪ জন রোগী ছিল। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান, সেখানকার কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সিগ্ধা দে। তিনি বলেন, বিশেষ করে বয়স্ক রোগীরা শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় করোনা ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। তারপরও সবাইকে  বেড দিতে পারছি না। একই চিত্র দেখা যায় সিলেটের ওসমানী হাসপাতাল, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সকল জেলায় এখন পর্যন্ত জেলার হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় ঠান্ডাজনিত রোগ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৬ জন। এছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন।  তিনি আরও জানান, ঠান্ডায় ডায়রিয়াজনিত রোগের সংখ্যা বেড়েছে। তবে সেটি খুব একটা নয়। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে হওয়ায় রোগীর সংখ্যা কম বলে জানান তিনি।