ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সিলেটে গৃহবধু হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার Logo সিলেটে স্ট্যাপ,কার্টিজ পেপার ও কোর্ট ফি তীব্র সংকট Logo সিলেটের পুরকায়স্থ পাড়ায় দশ তলা ভবনের  সাইনবোর্ড আছে, টাওয়ার নেই Logo সৌদি আরবের সাথে ব্যবসা বানিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক Logo সিলেটে আলোচিত ফেরিওয়ালা হত্যা মামলার রায়ে এক জনের যাবজ্জীবন Logo অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল ঘোষণা চলতি সপ্তাহেই Logo সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে থামছে না মৃত্যু !! দুই দশকে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে Logo বাংলাদেশের উন্নয়নে ফ্রান্সের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে-এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ Logo ভ্যাপসা গরমে ব্যায়াম করতে গিয়ে ৫টি কথা মনে রাখা জরুরী Logo শেখ হাসিনা বিকেলে দেশে ফিরছেন




১৮৪৫ সালে ১ আগস্ট

আজ  প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী

কালের ধারা ২৪ ডেস্ক :
  • প্রকাশিত : ১২:৫১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩ ১৫১ বার পঠিত
কালের ধারা ২৪, অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
print news

আজ  প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী

১৮৪৫ সালে ১ আগস্ট, এদিন লন্ডনে মারা যান প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা। দ্বারকানাথ কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবসায় বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা।

বিজ্ঞাপন

তিনি পড়াশোনা করেছেন প্রথমে ইংরেজদের স্কুল এবং পরে উইলিয়াম অ্যাডামসের কাছে ইংরেজি শিখেছেন। কিছুদিন আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পরে সুপ্রিম কোর্টে জমিদারের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। এভাবে নিজেও অর্থকড়ির মালিক হন এবং বিপুল জমিজমা কেনেন।

তার নামের শুরুতে প্রিন্স লেখার নামকরণ রয়েছে। একসময় তিনি ব্রিটেনে ছিলেন, সেসময় তার সমবয়সীরা তাকে প্রিন্স নামে ডাকতে শুরু করেন। এরপর কলকাতায় আসার পর এখানেও তাকে সবাই এ নামে ডাকতে শুরু করে।

১৮২৩ সালে চব্বিশ পরগনার নিমক মহলের দেওয়ান নিযুক্ত হন। ছয় বছর পর শুল্ক, লবণ ও অহিফেন বোর্ডের দেওয়ান হন। তিনি ‘ম্যাকিনটোশ অ্যান্ড কোং’-এর অংশীদার ও কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছিলেন। ‘ইউনিয়ন ব্যাংক’-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকও ছিলেন। কয়েকটি বীমা কোম্পানিরও পরিচালক হন। রেশম ও নীল রফতানি, কয়লাখনি, চিনিকল ও জাহাজ নির্মাণ ব্যবসা করেছেন। জনহিতকর অনেক কাজও তিনি করেছেন।

সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তির দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন পরিচালনা করেন। ১৮১৯ সালে তিনি রামমোহন রায়ের ‘আত্মীয় সভা’র সদস্য হন। তাঁর বিশ্বাস ছিল, ইংরেজরা এ দেশে উপনিবেশ করলে ভারতবর্ষের উন্নতিই হবে। ১৮২৯ সালে তিনি রামমোহনের সঙ্গে ‘বেঙ্গল হেরাল্ড’ ও ‘বঙ্গদূত’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। কলকাতায় পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনেও তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। ১৮৩৩ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি হিন্দু কলেজের অন্যতম পরিচালক ছিলেন। ভারত সরকার তাঁকে ‘জাস্টিস অব দ্য পিস’খেতাবে ভূষিত করে।

ট্যাগস :




ফেসবুকে আমরা







x

১৮৪৫ সালে ১ আগস্ট

আজ  প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত : ১২:৫১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
print news

আজ  প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী

১৮৪৫ সালে ১ আগস্ট, এদিন লন্ডনে মারা যান প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা। দ্বারকানাথ কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবসায় বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা।

বিজ্ঞাপন

তিনি পড়াশোনা করেছেন প্রথমে ইংরেজদের স্কুল এবং পরে উইলিয়াম অ্যাডামসের কাছে ইংরেজি শিখেছেন। কিছুদিন আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। পরে সুপ্রিম কোর্টে জমিদারের কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। এভাবে নিজেও অর্থকড়ির মালিক হন এবং বিপুল জমিজমা কেনেন।

তার নামের শুরুতে প্রিন্স লেখার নামকরণ রয়েছে। একসময় তিনি ব্রিটেনে ছিলেন, সেসময় তার সমবয়সীরা তাকে প্রিন্স নামে ডাকতে শুরু করেন। এরপর কলকাতায় আসার পর এখানেও তাকে সবাই এ নামে ডাকতে শুরু করে।

১৮২৩ সালে চব্বিশ পরগনার নিমক মহলের দেওয়ান নিযুক্ত হন। ছয় বছর পর শুল্ক, লবণ ও অহিফেন বোর্ডের দেওয়ান হন। তিনি ‘ম্যাকিনটোশ অ্যান্ড কোং’-এর অংশীদার ও কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছিলেন। ‘ইউনিয়ন ব্যাংক’-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকও ছিলেন। কয়েকটি বীমা কোম্পানিরও পরিচালক হন। রেশম ও নীল রফতানি, কয়লাখনি, চিনিকল ও জাহাজ নির্মাণ ব্যবসা করেছেন। জনহিতকর অনেক কাজও তিনি করেছেন।

সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তির দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন পরিচালনা করেন। ১৮১৯ সালে তিনি রামমোহন রায়ের ‘আত্মীয় সভা’র সদস্য হন। তাঁর বিশ্বাস ছিল, ইংরেজরা এ দেশে উপনিবেশ করলে ভারতবর্ষের উন্নতিই হবে। ১৮২৯ সালে তিনি রামমোহনের সঙ্গে ‘বেঙ্গল হেরাল্ড’ ও ‘বঙ্গদূত’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। কলকাতায় পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনেও তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। ১৮৩৩ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি হিন্দু কলেজের অন্যতম পরিচালক ছিলেন। ভারত সরকার তাঁকে ‘জাস্টিস অব দ্য পিস’খেতাবে ভূষিত করে।